যদিও এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠন করা হয়েছে, তবুও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। সব দেশেই আলাদা আলাদা বিভাগ রয়েছে। এনবিআরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এটি করা হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না। মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না। এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। এটা খুব হতাশাজনক নয়, আমরা আরও বেশি আশা করছি। অন্তত গতবারের চেয়ে কম হবে না।’
আসন্ন বাজেট সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাজেটে বড় ঘাটতি হবে না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন – এগুলো বাস্তবতার ভিত্তিতে করা হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করা হবে না। কিছু ঘাটতি থাকবে।’ আমরা সেই লক্ষ্যে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের সাথে কথা বলেছি এবং আমরা সেই ক্ষেত্রে মোটামুটি সফল।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বিশ্বের সকল দেশে রাজস্ব নীতি এবং বাস্তবায়ন বিভাগ পৃথক। যারা নীতি প্রণয়ন করবেন তাদের অবশ্যই পেশাদার হতে হবে; অর্থাৎ, তাদের দেশের জিডিপি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যারা নীতি প্রণয়ন করবেন তাদের রাজস্বও সংগ্রহ করতে হবে, তা হতে পারে না।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। গত রাতে এই বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। সংস্থাটি বিভক্ত করে রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিসিএস আয়কর এবং শুল্ক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করে বহুল আলোচিত ‘রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ জারি করেছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপর। এই প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।